সিলেট ১০:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সময়ের আগে বিয়ে ছেলে কিংবা মেয়ের স্বাবলম্বিতা অর্জনের পথে প্রধান অন্তরায়: ইউএনও ঊর্মি রায়

ক্লিক সিলেট ডেস্ক
  • প্রকাশ: ০৮:৫১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪
  • / ১১৫ বার পড়া হয়েছে
সময়ের আগে বিয়ে ছেলে কিংবা মেয়ের স্বাবলম্বিতা অর্জনের পথে প্রধান অন্তরায়: ইউএনও ঊর্মি রায়

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সিলেটের উদ্যোগে ‘‘আগে শক্ষিা, পরে বিয়ে, ১৮/২১ পাড়ি দিয়ে,”- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত মঙ্গলবার দক্ষিণ সুরমা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক শাহিনা আক্তার এর সভাপতিত্বে ও চাইল্ড রাইটস ফ্যাসিলিটেটর প্রিয়াংকা দাস রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঊর্মী রায়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সময়ের আগে বিয়ে করলে যেমন আইনগতভাবে অপরাধ হবে তেমনী ব্যক্তির নিজের শারিরীক ও মানসিক ক্ষতি হবে আরো বেশী। সময়ের আগে বিয়ে ছেলে কিংবা মেয়ের স্বাবলম্বিতা অর্জনের পথে প্রধান অন্তরায়। তাদের অধিকার সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে, তাদেরকে নিরাপদ পরিবেশ দিতে হবে।
প্রধান অতিথি বাল্যবিবাহ না করার জন্য এবং কোথাও হতে দেখলে তা বন্ধ করার জন্য উপস্থিত সকলকে শপথবাক্য পাঠ করান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুরমা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নুসরাত হক, সিনিওর সহকারী শিক্ষক সুচরিতা দাস, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এপিসি প্রকল্পেরপ্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ফেরদৌসী সুলতানা ভিএসিডব্লিউ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খাদিজা খাতুন। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ ও বিধিমালা ২০১৮ এর উপর স্লাইড পেজেন্টেশন করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার শামছন্নাহার। পরে বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে কিভাবে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হবে তার উপর নির্মিত ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শণ করা হয়।

অনুষ্ঠিত সমাবেশে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ, শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ, ছাত্রছাত্রী ও এনজিও প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শাহিনা আক্তার বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। এটি সামাজিক তথা জাতীয় অগ্রগতির অন্যতম অন্তরায়। এর ফলে সমাজে মাতৃমৃত্যু, শিশু মৃত্যু, বেকারত্ব, মাদকাসক্তি, তালাক তথা পারিবারিক সহিংসতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই একে রুখতে হবে। এর জন্য সরকার ১০৯, ১০৯৮, ৯৯৯ হেল্পলাইন চালু করেছেন যেটা থেকে সেবা নিলে সহজেই বাল্যবিবাহ বন্ধ করা যায়। এছাড়া উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়েও বাল্যবিবাহ বন্ধ করা যায়। তিনি সকলকে সহযোগিতা করার আহবান জানান।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

সময়ের আগে বিয়ে ছেলে কিংবা মেয়ের স্বাবলম্বিতা অর্জনের পথে প্রধান অন্তরায়: ইউএনও ঊর্মি রায়

প্রকাশ: ০৮:৫১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ জুন ২০২৪
সময়ের আগে বিয়ে ছেলে কিংবা মেয়ের স্বাবলম্বিতা অর্জনের পথে প্রধান অন্তরায়: ইউএনও ঊর্মি রায়

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সিলেটের উদ্যোগে ‘‘আগে শক্ষিা, পরে বিয়ে, ১৮/২১ পাড়ি দিয়ে,”- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত মঙ্গলবার দক্ষিণ সুরমা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক শাহিনা আক্তার এর সভাপতিত্বে ও চাইল্ড রাইটস ফ্যাসিলিটেটর প্রিয়াংকা দাস রায়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঊর্মী রায়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সময়ের আগে বিয়ে করলে যেমন আইনগতভাবে অপরাধ হবে তেমনী ব্যক্তির নিজের শারিরীক ও মানসিক ক্ষতি হবে আরো বেশী। সময়ের আগে বিয়ে ছেলে কিংবা মেয়ের স্বাবলম্বিতা অর্জনের পথে প্রধান অন্তরায়। তাদের অধিকার সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে, তাদেরকে নিরাপদ পরিবেশ দিতে হবে।
প্রধান অতিথি বাল্যবিবাহ না করার জন্য এবং কোথাও হতে দেখলে তা বন্ধ করার জন্য উপস্থিত সকলকে শপথবাক্য পাঠ করান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুরমা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নুসরাত হক, সিনিওর সহকারী শিক্ষক সুচরিতা দাস, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এপিসি প্রকল্পেরপ্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ফেরদৌসী সুলতানা ভিএসিডব্লিউ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা খাদিজা খাতুন। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ ও বিধিমালা ২০১৮ এর উপর স্লাইড পেজেন্টেশন করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার শামছন্নাহার। পরে বাল্যবিবাহের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে কিভাবে বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হবে তার উপর নির্মিত ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শণ করা হয়।

অনুষ্ঠিত সমাবেশে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ, শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ, ছাত্রছাত্রী ও এনজিও প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শাহিনা আক্তার বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। এটি সামাজিক তথা জাতীয় অগ্রগতির অন্যতম অন্তরায়। এর ফলে সমাজে মাতৃমৃত্যু, শিশু মৃত্যু, বেকারত্ব, মাদকাসক্তি, তালাক তথা পারিবারিক সহিংসতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই একে রুখতে হবে। এর জন্য সরকার ১০৯, ১০৯৮, ৯৯৯ হেল্পলাইন চালু করেছেন যেটা থেকে সেবা নিলে সহজেই বাল্যবিবাহ বন্ধ করা যায়। এছাড়া উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়েও বাল্যবিবাহ বন্ধ করা যায়। তিনি সকলকে সহযোগিতা করার আহবান জানান।