সিলেট ০২:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ শুরু সিলেট টেস্ট : দুই তরুণের অভিষেকের আভাস

স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশ: ১২:১২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
  • / ৫০ বার পড়া হয়েছে
আজ শুরু সিলেট টেস্ট : দুই তরুণের অভিষেকের আভাস

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ শেষে বাংলাদেশের চোখ এখন সাদা পোশাকে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে আজ শুক্রবার থেকে।

 

গতকাল দুই টেস্ট সিরিজের ট্রফি উন্মোচন করেন দুই দলের অধিনায়ক। লঙ্কানদের এই সফরের টি-টোয়েন্টির ট্রফি উন্মোচন করা হয়েছিল লাক্কাতুরা চা বাগানে। তবে টেস্ট সিরিজের আগে এমন চমক রাখেনি বিসিবি। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই হয়েছে টেস্ট সিরিজের ট্রফি উন্মোচন। যেখানে হাজির ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।

২০২২ সালে ভারতের কাছে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর ২০২৩ সালে কোন টেস্ট সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে নিজেদের প্রথম টেস্ট সিরিজে অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখতে চাইবে স্বাগতিকরা। গেল বছর ঘরের মাঠে খেলা তিন সিরিজের মধ্যে দু’টিতে জয় পায় বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক ম্যাচ টেস্ট সিরিজে জয় পেলেও, শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হয়।

এদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজটি দিয়েই টেস্টে নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে নতুন এসাইনমেন্ট নাজমুল হোসেন শান্তর। গেল বছর ঘরের মাঠে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শান্তর অধীনে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।

এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৪টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা। ২০১৭ সালে কলম্বোতে নিজেদের শততম টেস্টে লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ও শেষ জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। অবিস্মরণীয় ওই টেস্ট জয়ের দুই নায়ক সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালকে আজকের ম্যাচে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। চোখের সমস্যার কারণে আগেই সিরিজ থেকে সরে গেছেন সাকিব। আর তামিমের আন্তর্জাতিক ভবিষ্যত প্রায় শেষের দিকে। ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষে ১০ বার মুখোমুখি হয়েছে টাইগাররা। এরমধ্যে শ্রীলঙ্কা জয় ৭টিতে এবং বাকি তিনটি ম্যাচ ড্র হয়।

এদিকে, সিলেটের আকাশে মেঘের আনাগোনা। উইকেট ও কন্ডিশন যখন এমন, তখন যেকোনো দলই চাইবে পেস-সমৃদ্ধ দল সাজাতে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ শুরু হতে যাওয়া সিলেট টেস্টেও বাংলাদেশ দলের ভাবনা এমনই।
চোট, অতিরিক্ত ক্রিকেটের ক্লান্তির পরও বাংলাদেশ দল টেস্ট দলটা সাজাতে চায় পেসারদের দিয়ে। সে ক্ষেত্রে টেস্ট অভিষেক হয়ে যেতে পারে দুই তরুণ ফাস্ট বোলার মুশফিক হাসান এবং নাহিদ রানার। সঙ্গে অভিজ্ঞ খালেদ আহমেদ তো আছেনই। বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বৃহস্পতিবার সিলেটে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সে আভাসই দিলেন।

টেস্ট দলে আছেন বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলামও। কিন্তু টানা ক্রিকেটে ক্লান্ত শরীফুলকে ওয়ানডে সিরিজের পর ছুটি দেওয়া হয়েছে। তিনি সন্ধ্যার ফ্লাইটে সিলেটে দলের সঙ্গে যোগ দেন। প্রথম টেস্টের আগে কোনো অনুশীলন করেননি শরীফুল। বোঝাই যাচ্ছে, আজকের একাদশে তাঁর থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

হাথুরুসিংহেকে শরীফুলের অবস্থা জানতে চেয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি অবশ্য সরাসরি কিছু বলেননি, শরীফুল ঠিক আছে। সে অনেক বেশি সাদা বলের ক্রিকেট খেলেছে। তাই আমরা তাকে ছুটি দিয়েছি। তার বোলিং করার দরকার নেই। কারণ, সে অনেক বোলিং করেছে। সে খেলার জন্য প্রস্তুত।’ একাদশে কয়জন পেসার থাকতে পারেন, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি যোগ করেন, যারা আছে তাদের মধ্যে হয়তো ৩ জন বা ২ জন খেলতে পারে।

অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা নাহিদ ও মুশফিকের ব্যাপারে কোচের মন্তব্য, ‘দুজনই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়। দুজনই ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করতে পারে। আমরা দেখেছি ওরা কত জোরে বল করতে পারে। দুজনই তরুণ ও শক্তিশালী। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে দুজনেরই শুরুটা ভালো হয়েছে। হ্যাঁ, আমি খুবই রোমাঞ্চিত। দুজনের একজনের এই ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা দেখছি, হতে পারে দুজনই খেলবে।’

সিলেটের কন্ডিশনেরও তেমনই চাহিদা। হাথুরুসিংহের ভাষায়, ‘(গত নভেম্বরের) নিউজিল্যান্ড টেস্টের তুলনায় উইকেট কিছুটা ভিন্ন। নিউজিল্যান্ড টেস্টে এত ঘাস ছিল না। এই টেস্টে আছে। আবহাওয়ারও একটা ভূমিকা থাকবে। প্রতিপক্ষ ও কন্ডিশনের এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখলে এই টেস্টের চ্যালেঞ্জটাকে বড় মনে হবে। তবে নিউজিল্যান্ড সিরিজও চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমাদের ওদের হারাতে হলে সেরা খেলাটাই খেলতে হবে।’

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত নভেম্বরের সেই স্মরণীয় টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশ দলে ছিলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে আঙুলে চোটে তিনি টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে পড়েছেন। ফর্মে থাকা মুশফিকের না থাকা নিয়ে আক্ষেপ থাকলেও তারুণ্যে আস্থা রাখছেন হাথুরুসিংহে, ‘মুশির অভিজ্ঞতা আমরা মিস করব। এই ধরনের অভিজ্ঞতার বিকল্প খুঁজে বের করা খুবই কঠিন। একই সঙ্গে আমাদের তরুণ খেলোয়াড়দের সমর্থন দিতে হবে। হৃদয় দলে যোগ দিয়েছে। দুজন তরুণ ব্যাটসম্যান আছে দলে, দিপু এবং সাদমান। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য রোমাঞ্চকর সময়। আমি তাদের বলব, এই সুযোগগুলো যেন তারা দুহাতে লুফে নেয়।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আজ শুরু সিলেট টেস্ট : দুই তরুণের অভিষেকের আভাস

প্রকাশ: ১২:১২:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০২৪
আজ শুরু সিলেট টেস্ট : দুই তরুণের অভিষেকের আভাস

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ শেষে বাংলাদেশের চোখ এখন সাদা পোশাকে। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু হবে আজ শুক্রবার থেকে।

 

গতকাল দুই টেস্ট সিরিজের ট্রফি উন্মোচন করেন দুই দলের অধিনায়ক। লঙ্কানদের এই সফরের টি-টোয়েন্টির ট্রফি উন্মোচন করা হয়েছিল লাক্কাতুরা চা বাগানে। তবে টেস্ট সিরিজের আগে এমন চমক রাখেনি বিসিবি। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই হয়েছে টেস্ট সিরিজের ট্রফি উন্মোচন। যেখানে হাজির ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।

২০২২ সালে ভারতের কাছে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর ২০২৩ সালে কোন টেস্ট সিরিজ হারেনি বাংলাদেশ। ২০২৪ সালে নিজেদের প্রথম টেস্ট সিরিজে অপরাজিত থাকার রেকর্ড অক্ষুন্ন রাখতে চাইবে স্বাগতিকরা। গেল বছর ঘরের মাঠে খেলা তিন সিরিজের মধ্যে দু’টিতে জয় পায় বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে এক ম্যাচ টেস্ট সিরিজে জয় পেলেও, শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হয়।

এদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজটি দিয়েই টেস্টে নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে নতুন এসাইনমেন্ট নাজমুল হোসেন শান্তর। গেল বছর ঘরের মাঠে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শান্তর অধীনে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।

এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৪টি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে মাত্র একটিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা। ২০১৭ সালে কলম্বোতে নিজেদের শততম টেস্টে লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ও শেষ জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। অবিস্মরণীয় ওই টেস্ট জয়ের দুই নায়ক সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালকে আজকের ম্যাচে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। চোখের সমস্যার কারণে আগেই সিরিজ থেকে সরে গেছেন সাকিব। আর তামিমের আন্তর্জাতিক ভবিষ্যত প্রায় শেষের দিকে। ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষে ১০ বার মুখোমুখি হয়েছে টাইগাররা। এরমধ্যে শ্রীলঙ্কা জয় ৭টিতে এবং বাকি তিনটি ম্যাচ ড্র হয়।

এদিকে, সিলেটের আকাশে মেঘের আনাগোনা। উইকেট ও কন্ডিশন যখন এমন, তখন যেকোনো দলই চাইবে পেস-সমৃদ্ধ দল সাজাতে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ শুরু হতে যাওয়া সিলেট টেস্টেও বাংলাদেশ দলের ভাবনা এমনই।
চোট, অতিরিক্ত ক্রিকেটের ক্লান্তির পরও বাংলাদেশ দল টেস্ট দলটা সাজাতে চায় পেসারদের দিয়ে। সে ক্ষেত্রে টেস্ট অভিষেক হয়ে যেতে পারে দুই তরুণ ফাস্ট বোলার মুশফিক হাসান এবং নাহিদ রানার। সঙ্গে অভিজ্ঞ খালেদ আহমেদ তো আছেনই। বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বৃহস্পতিবার সিলেটে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সে আভাসই দিলেন।

টেস্ট দলে আছেন বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলামও। কিন্তু টানা ক্রিকেটে ক্লান্ত শরীফুলকে ওয়ানডে সিরিজের পর ছুটি দেওয়া হয়েছে। তিনি সন্ধ্যার ফ্লাইটে সিলেটে দলের সঙ্গে যোগ দেন। প্রথম টেস্টের আগে কোনো অনুশীলন করেননি শরীফুল। বোঝাই যাচ্ছে, আজকের একাদশে তাঁর থাকার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

হাথুরুসিংহেকে শরীফুলের অবস্থা জানতে চেয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি অবশ্য সরাসরি কিছু বলেননি, শরীফুল ঠিক আছে। সে অনেক বেশি সাদা বলের ক্রিকেট খেলেছে। তাই আমরা তাকে ছুটি দিয়েছি। তার বোলিং করার দরকার নেই। কারণ, সে অনেক বোলিং করেছে। সে খেলার জন্য প্রস্তুত।’ একাদশে কয়জন পেসার থাকতে পারেন, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি যোগ করেন, যারা আছে তাদের মধ্যে হয়তো ৩ জন বা ২ জন খেলতে পারে।

অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা নাহিদ ও মুশফিকের ব্যাপারে কোচের মন্তব্য, ‘দুজনই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়। দুজনই ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করতে পারে। আমরা দেখেছি ওরা কত জোরে বল করতে পারে। দুজনই তরুণ ও শক্তিশালী। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে দুজনেরই শুরুটা ভালো হয়েছে। হ্যাঁ, আমি খুবই রোমাঞ্চিত। দুজনের একজনের এই ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা দেখছি, হতে পারে দুজনই খেলবে।’

সিলেটের কন্ডিশনেরও তেমনই চাহিদা। হাথুরুসিংহের ভাষায়, ‘(গত নভেম্বরের) নিউজিল্যান্ড টেস্টের তুলনায় উইকেট কিছুটা ভিন্ন। নিউজিল্যান্ড টেস্টে এত ঘাস ছিল না। এই টেস্টে আছে। আবহাওয়ারও একটা ভূমিকা থাকবে। প্রতিপক্ষ ও কন্ডিশনের এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখলে এই টেস্টের চ্যালেঞ্জটাকে বড় মনে হবে। তবে নিউজিল্যান্ড সিরিজও চ্যালেঞ্জিং ছিল। আমাদের ওদের হারাতে হলে সেরা খেলাটাই খেলতে হবে।’

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গত নভেম্বরের সেই স্মরণীয় টেস্ট ম্যাচে বাংলাদেশ দলে ছিলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে আঙুলে চোটে তিনি টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে পড়েছেন। ফর্মে থাকা মুশফিকের না থাকা নিয়ে আক্ষেপ থাকলেও তারুণ্যে আস্থা রাখছেন হাথুরুসিংহে, ‘মুশির অভিজ্ঞতা আমরা মিস করব। এই ধরনের অভিজ্ঞতার বিকল্প খুঁজে বের করা খুবই কঠিন। একই সঙ্গে আমাদের তরুণ খেলোয়াড়দের সমর্থন দিতে হবে। হৃদয় দলে যোগ দিয়েছে। দুজন তরুণ ব্যাটসম্যান আছে দলে, দিপু এবং সাদমান। এটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য রোমাঞ্চকর সময়। আমি তাদের বলব, এই সুযোগগুলো যেন তারা দুহাতে লুফে নেয়।