সিলেট ০৯:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ সুরমার মানিকপুর ও মির্জানগর গ্রামে অনিল বিল সেচ না করার দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন

ক্লিক সিলেট ডেস্ক
  • প্রকাশ: ০৮:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৪৪ বার পড়া হয়েছে
দক্ষিণ সুরমার মানিকপুর ও মির্জানগর গ্রামে অনিল বিল সেচ না করার দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন

দক্ষিণ সুুরমা উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বোরো ফসল নির্ভরশীল মির্জানগর ও মানিকপুর গ্রামের কৃষকরা পাশ্ববর্তী গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলসাইন্দ মৌজার অনিল বিল ইজারাদার কতৃক সেচ না করার ও হাঁস খামারীদের হাঁস পালনে বাঁধা প্রদানের প্রতিবাদে দুই গ্রামবাসীর কৃষকরা সোমবার বিকেলে বিলের পাড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

এসময় কৃষকরা অভিযোগ করেন, গ্রামের অধিকাংশ পরিবার কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। গ্রাম দুটির পূর্বপাশে অনিল বিল রয়েছে। উক্ত বিলের চারিদিকে গ্রাম দুটির অসংখ্য কৃষিজমি রয়েছে। এ জমি গুলোতে কৃষকরা বোরো ফসল চাষ করেন ও হাঁস খামারীরা হাঁস পালন করেন।১৫/২০জন খামারীরা হাঁস পালন করে আসছেন। বিল ইজারাদার মানিকপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালিকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন যেকোন সময় বিল থেকে পানি শুকিয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনিল বিল সেচ হয়ে গেলে ৫টি গ্রামের প্রায় ১০০একর বোরো ক্ষেতের জমি অনাবাদী হয়ে যাবে। বোরো ফসল নির্ভরশীল দুটি গ্রামের কৃষকরা একমাত্র আয়ের উৎস হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যে হাঁস পালনে বাঁধায় মানিকপুর গ্রামের আক্তার হেসেনসহ এই গ্রামের ১৫/১৬ জন খামারী তাদের হাঁস বিক্রি করে ফেলেন। এতে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা লোকসান হয় খামারিদের।

এ ব্যাপারে কৃষকদের ক্ষেতের জমি রক্ষার স্বার্থে ইজারাদার যাতে বিল সেচ না করতে পারে ও হাঁস পালনে বাঁধা সৃষ্টি যাতে না করতে পারে সেজন্য ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য গত ১৮ ডিসেম্বর সিলেটের জেলা প্রশাসকের বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

মানববন্ধন কর্মসূচির খবর পেয়ে, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঊর্মি রায় সোমবার বিকেলে মানিকপুর ও মির্জানগর গ্রামে গিয়ে বিলটির এলাকা পরিদর্শন করেন এবং কৃষকদের অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শুনেন। এসময় তিনি বলেন, যেহেতু বিলটি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলসাইন্দ মৌজার একটি বিল। তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলাপ করে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।

মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শমিদ মিয়া, ইমাম উদ্দীন, জুনাব আলী, আব্দুল্লাহ মিয়া, মাসুক মিয়া, জলাল মিয়া, ইসলাম মিয়া,শেবুল মিয়া, ছাইদুল হক, জুনেদ আহমদ, আলম উদ্দিন, দিলাবর হেসেন, নিজাম উদ্দিন, মোবারক আলী, মছব্বর আলী, লালা মিয়া, আশিক মিয়া, কামাল উদ্দিন, রাজু আহমদ, আলী আকবর রাজন সহ শতাধিক কৃষক।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দক্ষিণ সুরমার মানিকপুর ও মির্জানগর গ্রামে অনিল বিল সেচ না করার দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৮:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
দক্ষিণ সুরমার মানিকপুর ও মির্জানগর গ্রামে অনিল বিল সেচ না করার দাবিতে কৃষকদের মানববন্ধন

দক্ষিণ সুুরমা উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের বোরো ফসল নির্ভরশীল মির্জানগর ও মানিকপুর গ্রামের কৃষকরা পাশ্ববর্তী গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলসাইন্দ মৌজার অনিল বিল ইজারাদার কতৃক সেচ না করার ও হাঁস খামারীদের হাঁস পালনে বাঁধা প্রদানের প্রতিবাদে দুই গ্রামবাসীর কৃষকরা সোমবার বিকেলে বিলের পাড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

এসময় কৃষকরা অভিযোগ করেন, গ্রামের অধিকাংশ পরিবার কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। গ্রাম দুটির পূর্বপাশে অনিল বিল রয়েছে। উক্ত বিলের চারিদিকে গ্রাম দুটির অসংখ্য কৃষিজমি রয়েছে। এ জমি গুলোতে কৃষকরা বোরো ফসল চাষ করেন ও হাঁস খামারীরা হাঁস পালন করেন।১৫/২০জন খামারীরা হাঁস পালন করে আসছেন। বিল ইজারাদার মানিকপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালিকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন যেকোন সময় বিল থেকে পানি শুকিয়ে মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অনিল বিল সেচ হয়ে গেলে ৫টি গ্রামের প্রায় ১০০একর বোরো ক্ষেতের জমি অনাবাদী হয়ে যাবে। বোরো ফসল নির্ভরশীল দুটি গ্রামের কৃষকরা একমাত্র আয়ের উৎস হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়বে। ইতোমধ্যে হাঁস পালনে বাঁধায় মানিকপুর গ্রামের আক্তার হেসেনসহ এই গ্রামের ১৫/১৬ জন খামারী তাদের হাঁস বিক্রি করে ফেলেন। এতে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা লোকসান হয় খামারিদের।

এ ব্যাপারে কৃষকদের ক্ষেতের জমি রক্ষার স্বার্থে ইজারাদার যাতে বিল সেচ না করতে পারে ও হাঁস পালনে বাঁধা সৃষ্টি যাতে না করতে পারে সেজন্য ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য গত ১৮ ডিসেম্বর সিলেটের জেলা প্রশাসকের বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

মানববন্ধন কর্মসূচির খবর পেয়ে, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঊর্মি রায় সোমবার বিকেলে মানিকপুর ও মির্জানগর গ্রামে গিয়ে বিলটির এলাকা পরিদর্শন করেন এবং কৃষকদের অভিযোগ মনোযোগ সহকারে শুনেন। এসময় তিনি বলেন, যেহেতু বিলটি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলসাইন্দ মৌজার একটি বিল। তিনি গোলাপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলাপ করে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।

মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শমিদ মিয়া, ইমাম উদ্দীন, জুনাব আলী, আব্দুল্লাহ মিয়া, মাসুক মিয়া, জলাল মিয়া, ইসলাম মিয়া,শেবুল মিয়া, ছাইদুল হক, জুনেদ আহমদ, আলম উদ্দিন, দিলাবর হেসেন, নিজাম উদ্দিন, মোবারক আলী, মছব্বর আলী, লালা মিয়া, আশিক মিয়া, কামাল উদ্দিন, রাজু আহমদ, আলী আকবর রাজন সহ শতাধিক কৃষক।