সিলেট ১১:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জমির জন্য বাবার দাফন আটকাতে কবরে শুয়ে পড়লেন ছেলে!

ক্লিক সিলেট ডেস্ক
  • প্রকাশ: ১০:৫৩:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
  • / ১৪৭ বার পড়া হয়েছে
জমির জন্য বাবার দাফন আটকাতে কবরে শুয়ে পড়লেন ছেলে!

নীলফামারীতে জমি লিখে না দেওয়ায় মজিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তির মরদেহ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলের বিরুদ্ধে। দাফন আটকাতে বাবার জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন তিনি। এ সময় দুই ঘণ্টা মরদেহ বাড়ির উঠানে পড়ে থাকে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সদর উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জাদুরহাট বাটুলটারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে মরদেহ দাফন করা হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ‘মুজিবুর রহমানের দুই স্ত্রী রয়েছে। মৃত্যুর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে দুই শতাংশ ও ছোট ছেলেকে পাঁচ শতাংশ জমি লিখে দেন তিনি। তবে প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলে ওয়াজেদ আলী, খয়রাত আলী ও নওশাদ আলীকে মৌখিকভাবে তিন শতাংশ জমি দেওয়া হয়। কিন্তু মৃত্যুর আগে ওই তিন ছেলেকে দেওয়া জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে পারেননি। জমি রেজিস্ট্রি করে না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ছেলে নওশাদ আলী তার মরদেহ দাফনে বাধা দেন। বাবার জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে থাকেন তিনি।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চার নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মাহাবুল ইসলাম (মেম্বার) বলেন, ‘জমি লিখে না দেওয়ায় বাবার মরদেহ দাফনে ছেলের বাধা দেওয়ার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। তবে দুপুরের দিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফনকাজ সম্পন্ন হয়েছে।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভিরুল ইসলামও ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সংবাদটি ভালো লাগলে স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জমির জন্য বাবার দাফন আটকাতে কবরে শুয়ে পড়লেন ছেলে!

প্রকাশ: ১০:৫৩:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
জমির জন্য বাবার দাফন আটকাতে কবরে শুয়ে পড়লেন ছেলে!

নীলফামারীতে জমি লিখে না দেওয়ায় মজিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তির মরদেহ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার ছেলের বিরুদ্ধে। দাফন আটকাতে বাবার জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে পড়েন তিনি। এ সময় দুই ঘণ্টা মরদেহ বাড়ির উঠানে পড়ে থাকে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সদর উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জাদুরহাট বাটুলটারী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে মরদেহ দাফন করা হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ‘মুজিবুর রহমানের দুই স্ত্রী রয়েছে। মৃত্যুর আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে দুই শতাংশ ও ছোট ছেলেকে পাঁচ শতাংশ জমি লিখে দেন তিনি। তবে প্রথম স্ত্রীর তিন ছেলে ওয়াজেদ আলী, খয়রাত আলী ও নওশাদ আলীকে মৌখিকভাবে তিন শতাংশ জমি দেওয়া হয়। কিন্তু মৃত্যুর আগে ওই তিন ছেলেকে দেওয়া জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে পারেননি। জমি রেজিস্ট্রি করে না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ছেলে নওশাদ আলী তার মরদেহ দাফনে বাধা দেন। বাবার জন্য খোঁড়া কবরে শুয়ে থাকেন তিনি।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চার নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মাহাবুল ইসলাম (মেম্বার) বলেন, ‘জমি লিখে না দেওয়ায় বাবার মরদেহ দাফনে ছেলের বাধা দেওয়ার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে। তবে দুপুরের দিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফনকাজ সম্পন্ন হয়েছে।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভিরুল ইসলামও ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।