নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দ্যোগে পিঠা উৎসব

- প্রকাশ: ০৮:০১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫
- / ২৮ বার পড়া হয়েছে

নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক বর্ণাঢ্য ও প্রাণবন্ত পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার এ উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং নর্থ ইষ্ট মেডিকেল প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ গর্ভনিং বডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ আফজল মিয়া, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন অধ্যাপক ডাঃ মোঃ নাজমুল ইসলাম, নর্থ ইষ্ট মেডিকেল প্রাইভেট লিমিটেডের (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ হারুনুর রশীদ, নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ এ.এফ.এম. নাজমুল ইসলাম, নর্থ ইষ্ট মেডিকেল প্রাইভেট লিমিটেডের পরিচালক আবু আহমেদ সিদ্দিকি, অধ্যাপক ডাঃ উম্মে ফাহমিদা মালিক, উপ-পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জসিম উদ্দিন, সহকারী পরিচালক ডাঃ ফাহমিদুর রহমানসহ নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ডেন্টাল ইউনিটের শিক্ষক, চিকিৎসক এবং ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা হরেক রকম ঐতিহ্যবাহী পিঠা তৈরি করে পরিবেশন করেন। পিঠার সৌরভে মুখরিত এই আয়োজনকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে একটি মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডাঃ শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী এ উৎসবের প্রশংসা করে বলেন, নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ সবসময় অন্য মেডিকেল কলেজ থেকে আলাদা। এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীরা সামাজিক কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে। গত এক সপ্তাহে ১,২০০-এর অধিক শীতার্ত মানুষকে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষার্থীদের ক্লান্ত না করে বরং তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের পিঠা উৎসব ও সামাজিক কার্যক্রম চলমান থাকবে।
উৎসবে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তিনটি স্টল স্থাপন করা হয়, যেখানে দেশীয় ঐতিহ্যের নানান স্বাদের পিঠার আয়োজন করা হয়।
স্টল প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে ২৭তম ব্যাচের “রসকুঠির”, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে বিডিএস-এর “হিমহাওয়া”, তৃতীয় স্থান অর্জন করে ২৩তম ব্যাচের “পিঠা কথা”।
কলেজের পক্ষ থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের ঐতিহ্যবাহী পিঠার বিশেষ আয়োজন করা হয়।
উৎসবটি শিক্ষার্থী ও অতিথিদের জন্য এক আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টি করে এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করে তোলে।